বাংলা আটিকেল লেখার নিয়ম


বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে অনেকের সঠিক তথ্য জানা থাকে না, আজ আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করব কিভাবে আপনি একটি বাংলা আর্টিকেল লিখবেন।
বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম
বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে আমাদের পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালো করে মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। আমরা আপনাকে শেখাবো কিভাবে বাংলা কনটেন্ট লিখে মাসে লাখ টাকা আয় করা যায়। 

পেজ সূচিপত্রঃবাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম 

বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম 

বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম ও ইংরেজি আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পূর্ণ একই। আপনি বাংলাতে যেভাবে আর্টিকেল লিখবেন ইংরেজিতে ও একইভাবে আর্টিকেল লিখতে পারবেন। আপনার প্রথমে নির্বাচন করতে হবে আপনি বাংলাতে আর্টিকেল লিখবেন না ইংরেজিতে আর্টিকেল লিখবেন, কারণ গুগল এডসেন্স পেতে গেলে আপনাকে প্রথমে যে কোনো একটি ভাষায় আর্টিকেল লিখতে হবে।
 
প্রথমে চেষ্টা করবেন বাংলাতে আর্টিকেল লেখার জন্য কারণ আমরা বাংলা ভাষায় বেশি পারদর্শী। বাংলা ভাষায় কনটেন্ট লেখে গুগলে র‍্যাংক করার পরে আপনি যেকোনো ভাষায় কনটেন্ট লেখতে পারবেন।

লাইন গ্যাপ দিয়ে বাংলা আর্টিকেল লেখা

অনেকে আছেন দুই প্যারাগ্রাফ এর মাঝে কয়েক লাইন গ্যাপ দিয়ে কনটেন্ট লিখে পোস্ট করেন। এভাবে কনটেন্ট লিখা যাবে না। পরিশুদ্ধ বাংলা কনটেন্ট লেখার নিয়ম হলো সর্বোচ্চ এক লাইন গ্যাপ ব্যবহার করা। বাংলা কনটেন্ট লেখার ক্ষেত্রে অবশ্যই এই ব্যাপার গুলো মাথায় রাখতে হবে।

 ফরম্যাটিং করে বাংলা আর্টিকেল লেখা 

বাংলা আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে অবশ্যই সুন্দর করে ফরম্যাটিং করে আর্টিকেল লিখতে হবে। সম্পূর্ণ আর্টিকেলের লেখা জাস্টিফাই এলাইমেন্টের হতে হবে। আবার আর্টিকেলের মধ্যে ছবির এলাইমেন্ট সেন্টার ব্যবহার করতে হবে। এই ব্যাপারগুলো মাথায় রেখে আর্টিকেল রাইটিং করলে কোন সমস্যা হবে না। 

কনটেন্ট রাইটিং টিপস পেজ সূচিপত্র



কনটেন্ট রাইটিং লেখার যতগুলো উপায় আছে তার মধ্যে এটি অন্যতম। কোন আর্টিকেলের শুরুতে পেজ সূচিপত্র দেখে আপনি সহজে পুরো পোস্টের কোথায় কি লেখা আছে তা ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। 

কনটেন্ট এর ভেতর ফিচার ইমেজ বসানো 

প্রতিটি আর্টিকেল বা কনটেন্ট এর ভেতরে ন্যূনতম একটি প্রাসঙ্গিক ফিচার ইমেজ বসাতে হবে। একটি ফিচার ইমেজ কনটেন্টকে অনেক অর্থবোধক করে তুলে। পাঠকরা শুধু লাইনের পর লাইন পড়তে চাই না, অনেক সময় প্রাসঙ্গিক ফিচার ইমেজ ও দেখতে চাই। তাই চেষ্টা করবেন আপনার পোষ্টের ভেতর একটি বা দুইটি প্রাসঙ্গিক ফিচার ইমেজ রাখতে। 

আর্টিকেলের ভেতর আরো পড়ুন সেকশন তৈরি

বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম
আপনি লক্ষ্য করে দেখবেন প্রায় কনটেন্ট এর ভেতর বিভিন্ন রকম প্রাসঙ্গিক লিংক ব্যবহার করা থাকে। এই প্রাসঙ্গিক লিংকে বলা হচ্ছে আরো পড়ুন সেকশন। 

আপনি সব সময় চেষ্টা করবেন আপনার কনটেন্ট এর ভেতর কম করে দুই থেকে তিনটি আরো পড়ুন সেকশন পর্যন্ত তৈরি করার। কারণ এর কারণে আপনার ওয়েবসাইটের ভেতর ভিউয়ার্সকে অনেক বেশি সময় ধরে রাখতে পারবেন। এতে করে আপনার ইনকাম বৃদ্ধি পাবে।

ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার করে কন্টেন্ট রাইটিং করা 

ফোকাস কিওয়ার্ড হলো এমন একটি বিষয় যা আর্টিকেল বা পোস্টে হৃদপিণ্ড বলা হয়। ফোকাস কিওয়ার্ড ছাড়া কোন আর্টিকেল গুগল সার্চ এর প্রথম পেজে নিয়ে আসা সম্ভব না। এখন আপনি ভাবতে পারেন ফোকাস কি ওয়ার্ড কি? 

যেমন ধরুন; কিভাবে বাংলা আর্টিকেল লিখতে হয় সেই বিষয় সম্পর্কে আপনি কিছু জানেন না, তাহলে কিভাবে শিখবেন? নিশ্চয়ই গুগলে সার্চ দিয়ে শেখে নিবেন তাই না? তো... গুগলে কি লিখে সার্চ দিবেন বলুন দেখি! নিশ্চয়ই "আর্টিকেল লেখার নিয়ম" বা "বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম" এভাবে লিখে সার্চ দিবেন তাই না? হ্যাঁ... এটাই হলো ফোকাস কিবোর্ড।

মূল বিষয় হলো আপনি যে বিষয়ে পোস্ট লিখছেন সেই ব্যাপারে জানার জন্য মানুষ গুগলে যা লিখে সার্চ করবে সেটাই হলো ফোকাস কিওয়ার্ড। যেমন ধরুন জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন থেকে চেক করতে বা ডাউনলোড করতে কি লিখে গুগলে সার্চ করবেন বলুন দেখি? নিচে এই সম্পর্কিত কয়েকটি ফোকাস কিওয়ার্ড তালিকা করে দেখানো হলোঃ
  • জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করার নিয়ম 
  • আমার ভোটার আইডি কার্ড দেখতে চাই 
  • ভোটার আইডি কার্ড দেখার নিয়ম 
  • ভোটার আইডি কার্ড চেক 
  • অনলাইন থেকে আপনার আইডি কার্ড সংগ্রহ করুন 
  • মোবাইলে ভোটার আইডি চেক 
  • স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড 
  • আইডি কার্ড চেক 
  • জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড ইত্যাদি। 
উপরোক্ত কিওয়ার্ডগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি কিওয়ার্ড লিখে গুগলে সার্চ করলে আপনার ওয়েবসাইটটি গুগলের প্রথম পেজে চলে আসবে। এর কারণ আপনার পোষ্টের ভিতর এই সমস্ত ফোকাস কিওয়ার্ডগুলো ব্যবহার করা হয়েছে। 

ওয়েবসাইট ছাড়া অন্য কোথাও আর্টিকেল লিখে রাখা 

অনেকে আছেন যারা মূলতো ওয়েবসাইটে পোস্ট না লিখে শুরুতে বিভিন্ন জায়গায় লিখে রেখে এরপর ওয়েবসাইটে এসে তা পোস্ট করে থাকেন। যেমন ধরেন; মোবাইলের নোটপ্যাডে, কম্পিউটারের মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে এসব জায়গায় লিখে রাখেন। পরবর্তীতে সেই লেখা কপি করে ওয়েবসাইটের ভেতর পেস্ট করে পাবলিশ করে দেন। 

এভাবে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এর মত প্রোগ্রামে পোস্ট লিখে সেভ করে রাখলে পরবর্তীতে কপি করার সময় সেখানকার প্রিফরম্যাটও কপি হয়ে যায়। যার ফলে ওয়েবসাইটে লিখে পোস্ট করার পর অনেক সময় ফন্ট চেঞ্জ ও ছোট বড় জনিত বিভিন্ন ফরম্যাটিং সমস্যা দেখা দেয়। তাই সবার প্রতি অনুরোধ থাকবে ওয়েবসাইট ছাড়া অন্য কোথাও পোস্ট লিখে সেভ করে রাখবেন না। 

আর্টিকেলের লেখার সেরা নিয়ম 

আর্টিকেল লেখার সেরা নিয়ম হলো শুরুতে সুন্দর করে ভূমিকা লিখে রাখা যাতে করে পাঠকগণ বুঝতে পারেন নিচের পুরো আর্টিকেলে কি কি থাকছে বা না থাকছে। আর্টিকেলের শুরুতে যদি ভেতরে কি আছে না আছে সে বিষয়ে পাঠক ক্লিয়ার একটি ধারণা পেয়ে যায় তাহলে নিশ্চয় পাঠকের কাছে এটি ভালো লাগবে। তাই না? 

এরপর যখন একটি পাঠক আপনার আর্টিকেল পড়তে শুরু করবে এবং সেখানে দেখবে তুলনামূলক বৈশিষ্ট্য সুবিধা-অসুবিধা বিস্তারিত আলোচনা করা আছে তাহলে অবশ্যই পাঠক আপনার পোস্টটি পড়ে ভালো লাগবে। তাই না? আর পোস্টের শেষে যদি লেখকের ব্যক্তিগত কিছু মতামত দেখতে পাই যে তার কাছে কোন টপিক সেরা নিশ্চয় পাঠকের কাছে আরো ভালো লাগবে! তাই না?
 
জ্বি। একটি পাঠক আপনার আর্টিকেল বা পোস্ট থেকে যা যা আসার করে সেগুলো যদি আপনি পোষ্টের ভেতর উপস্থাপন করতে পারেন কেবল তাহলে আপনার পোস্টটি লেখা সার্থক হবে।

আর্টিকেলের টাইটেল যেমন হওয়া উচিত 

একটি আর্টিকেলের টাইটেল বা শিরোনাম যেন ৫ থেকে ৯ শব্দের মধ্যে হয় এবং পোস্ট শিরোনাম পড়ে যেন বোঝা যায় পুরো পোস্টে কি থাকছে? প্রতি ১০ জন পাঠকের মধ্যে ৮ জন পাঠকই শুধুমাত্র পোস্টের শিরোনাম পড়ে পোস্ট না পড়ে অন্য কোথাও চলে যায় যদি পোস্ট শিরোনাম তাদের পছন্দ না হয়।

কি? কিভাবে? যেভাবে? কিংবা লিস্ট বেইজড শব্দ যেমন ৫টি ১০টি ইত্যাদি পোস্ট শিরোনামে রাখলে পাঠকরা পড়তে আকৃষ্ট হয়।

আর্টিকেলের ভেতর আপনি, আমি শব্দের ব্যবহার 

বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম
যখন কোন পোস্ট লিখবেন তখন আপনি/ আমি এ ধরনের শব্দের ব্যবহার বেশি করবেন যাতে করে পাঠক মনে করে আপনি তাদের সাথে গল্প করছেন। আর্টিকেল লেখার নিয়ম গুলোর মধ্যে এটি একটি সেরা টিপস। 

কেন ফোকাস কিওয়ার্ড গুরুত্বপূর্ণ? 

কেন ফোকাস কিওয়ার্ড এত গুরুত্বপূর্ণ তার কারণ হচ্ছে মানুষ যখন কোন কিছু লিখে গুগলে সার্চ দেয় তখন গুগল যাচাই করে দেখে কার লেখা ফোকাস কিওয়ার্ড কোন ওয়েবসাইট পোস্টে বেশি ব্যবহার করা হয়েছে। যার ফোকাস কিওয়ার্ড আর্টিকেলের ভেতর বেশি ব্যবহার করা হয়েছে তার কনটেন্ট গুগলে প্রথম পেজে দেখাবে। 

তাই কম করে ১০ থেকে ১৫ বার কনটেন্টের ভেতর ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে আবার মডিফাই করে ৫ থেকে ১০ বার ব্যবহার করতে হবে। তাই বলা যায় যত বেশি পোস্টের ভেতর ফোকাস কিবোর্ড ব্যবহার করবেন তত আপনার পোস্টটি গুগলে রেংক করবে। আশা করি এবার বুঝতে পারছেন ফোকাস কিওয়ার্ড কেন এত বেশি গুরুত্বপূর্ণ। 

আর্টিকেল আ্যলাইনমেন্ট

পোস্টের ভেতরে পিকচার গুলো সেন্টার আ্যলাইমেন্ট রাখবেন এবং লেখাগুলোকে জাস্টিফাই আ্যলামেন্টে রাখবেন যাতে দেখতে বইয়ের লেখার মত মনে হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইনফোবিডি আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url