দাঁত ব্যথা হলে করণীয়

শীতকালে মধু খাওয়ার ৫টি উপকার

দাঁত ব্যথা একটি সাধারন সমস্যা, যা অনেক মানুষের হয়ে থাকে। এটি সাধারণত দাঁতের গোড়ায় লেগে থাকা জীবাণু কারণে হয়ে থাকে। দাঁত ব্যথা হলে শারীরিক অসুস্থতার পাশাপাশি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পরে।


পোষ্ট সুচিপত্র

দাঁত ব্যথার কারণ

দাঁত ব্যথা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। তার কিছু কিছু ধারণা নিচে দেওয়া হলো ঃ

১. দাঁতের ক্ষয় একটি সাধারণ কারণ। দাঁত ক্ষয় হয়ে গেলে দাঁতের অভ্যন্তরীণ স্তরে ব্যথার সৃষ্টি হয়।

২. গাম রোগ দাঁতের আশেপাশে টিস্যুর সংক্রমণের ফলে ঘটে। এটি গামের ফুলে ওঠা বা ব্যথার কারণ হতে পারে।

৩. দাঁতের গভীর সংক্রমণ হলে সেটি ব্যথার সৃষ্টি করে। এ ধরনের সমস্যা প্রায় দাঁতের রোগের কারণ হতে পারে। 

৪. দাঁতের ফাটল হলে সেটিও ব্যাথার কারণ হতে পারে বিশেষ করে খাবার গ্রহণ করার সময়। 

৫. জিহ্বা বা গাল কাটা এ ধরনের আঘাতেও অনেক সময় দাঁতে ব্যথার সৃষ্টি করে।

৬. যদি দাঁত অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠে তাহলে তা পরবর্তীতে দাঁত ব্যথার কারণ হতে পারে।

দাঁত ব্যথার লক্ষণ

১.তীব্র ও কঠিন ব্যথা ।

২.দাঁতের অনুভূতি কমে যাওয়া ।

৩.গামে ফুলে যাওয়া বা রক্তপাত।

৪.কোন কিছু চিবানোর সময় ব্যথা করা।

৫.দাঁত ও গালের অংশে আঘাত পাওয়া।

আরো পড়ুনঃপ্রতিদিন ১টি বা ২টি করে কলা খাওয়ার উপকার।

দাঁত ব্যথা হলে করনীয় ঃ

দাঁত ব্যথা করলে জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। নিচে কিছু কার্য পদ্ধতি উল্লেখ করা হলো ঃ

১. প্রথমত দাঁত ব্যথা হলে যত দ্রুত সম্ভব টেস্টের শরণাপন্ন হতে হবে। কারণ দাঁতের সমস্যাগুলো দ্রুত বাড়তে পারে। ডেন্টিস্ট সমস্যাগুলোর কারণ চিহ্নিত করে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারবেন।

২. যখন আপনি ডেনটেস্টের কাছে যেতে পারবেন না তখন কিছু ঘরোয়া প্রতিকার অবলম্বন করতে পারেন

*গরম বা ঠান্ডা পানির সেঁক দেওয়ার মাধ্যমে ব্যাথার জায়গায় একটু আরাম পাওয়া যেতে পারে।

*একটি গ্লাসে গরম পানি করে তাতে একটু লবণ মিশিয়ে গাগল করা যেতে পারে। এতে করে ব্যথা অনেকটা কমে যায়।

*পেঁয়াজের রস ব্যথার জায়গায় লাগালে ব্যথা অনেকটা কমে যায়। 

*আদার রস ব্যথা কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। 

 ৩. দাঁত ব্যথা হলে (OTC) ওষুধ সেবন করা। যেমন আয়বুপ্রোফেন ইটোরিষ্কব ইত্যাদি। এটি কেবলমাত্র সাময়িক আরাম দেওয়ার জন্য। 

৪. খাদ্যাভাস পরিবর্তন 

*দাঁত ব্যথা করলে কিছু  খাদ্যের পরিবর্তন করতে হবে। যেমন কোমল এবং মৃদু খাবার গ্রহণ করার দই সুপ ইত্যাদি। 

*শর্করা ও আয়োডিন খাবার থেকে বিরতি থাকা। যেমন কোমল পানিও মিষ্টি লেবু ইত্যাদি। 

৫. দাঁত ব্যথা করলে মানসিক চাপ কমানো খুবই জরুরী। ধ্যান ও শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করতে পারেন। এটি মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। 

৬. দাঁত ব্যথায় এড়ানোর জন্য প্রতিরোধক মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত 

*প্রতি ছয় মাস পর পর ডেন্টাল চেকআপ করা জরুরী। এতে করে দাঁতের সমস্যাগুলো প্রাথমিক পর্যায়ে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়। 

*প্রতিদিন সকালে ও রাতে দুইবার ব্রাশ করা উচিত। এতে করে দাঁতের ক্ষয় রোধ করা সম্ভব। 

*নিয়ম মতো পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুন এবং শর্করা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

*দাঁতের সুরক্ষা বজায় রাখতে ভালো মানের টুথপেস্ট ব্যবহার করুন।




দাঁত ব্যথার সাথে যদি নিজের লক্ষণ গুলো দেখা দেয় তাহলে অতি দ্রুত সম্ভব ডেন্টিস্ট কাছে যেতে হবে।

-ব্যথা যদি খুব তীব্র হয়। 

-গাম থেকে রক্তপাত হচ্ছে।

-মুখের অর্ধেক অংশে বা গালে তীব্র ব্যথা অনুভব হচ্ছে।

-জ্বর বা অন্যান্য গুরুতর লক্ষণ দেখা দিলে। 

উপসংহার ঃ

পরিশেষে বলা যায় দাঁত ব্যথা একটি বিরক্তিকর এবং যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা। তবে এটি সাধারণ চিকিৎসা গ্রহণ করলে ভালো হয়ে যায়। প্রতি ছয় মাস পর পর দাঁতের চেকআপ করানো দরকার। প্রাথমিক পর্যায়ে দাঁতের চিকিৎসা গ্রহণ করলে এটি ভালো হয়ে যায়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইনফোবিডি আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url